কেশবপুর,যশোর প্রতিনিধি :
কেশবপুর থেকে একাধিক গৃহ চুরির ঘটনায় অজ্ঞানপার্টি চোর চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে চোরাই আলামতসহ চেতনা নাশক হলুদের গুড়া উদ্ধার করা হয়েছে। যশোর জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার,বিপিএম (বার), পিপিএম দিক-নির্দেশনায় ওসি ডিবি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম (বার) এর তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার এলআইসি টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ অবৈধ অস্ত্রগুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। বাংলাদেশ পুলিশের শপথ-দেশের মানুষকে রাখবো নিরাপদ, সত্য উদঘাটনে বদ্ধ পরিকর, যশোর জেলা পুলিশ" তারই ধারাবাহিকতায় এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম এর নেতৃত্বে এসআই আমিরুল ইসলাম, শফি আহমেদ রিয়েলসহ ডিবি’র একটি চৌকশ টিম এবং কেশবপুর থানা পুলিশ মঙ্গলবার (২২ আগষ্ট) বিকাল থেকে ২৩ আগষ্ট সকাল পর্যন্ত কেশবপুর ও মনিরামপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা চালিয়ে অজ্ঞানপার্টি গৃহ চোর চক্রের ০৫ সদস্য আটক করে ০৩ (তিন)টি বাড়ীতে অচেতন করে চুরি সংঘটনের ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ চোরাই আলামত উদ্ধার এবং চুরি কাজে ব্যবহৃত চেতনা নাশক ঔষধ মিশ্রিত হলুদের গুড়া উদ্ধার করেছেন।
১। মোঃ তরিকুল ইসলাম (২২), পিতা- মাসুদ মোল্লা, সাং- বাগুটিয়া, থানা-অভয়নগর, বর্তমান ঠিকানা- সাবদিয়া নাজির হোসেন এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা-কেশবপুর, জেলা-যশোর ২। মোঃ জনি রহমান (২২), পিতা- আনিছুর বিশ্বাস, সাং- ভোগতি নরেন্দ্রপুর, থানা- কেশবপুর, জেলা-যশোর ৩। মোঃ সাহিদুর (সাইদুল ইসলাম) (৩৬), পিতা-মৃত আকাম সরদার, সাং- কাশিপুর, থানা-মনিমপুর, জেলা-যশোর ৪। ইসরাইল হোসেন (৩৫), পিতা-চান্দালী মোড়ল, সাং-হালসা, থানা-মনিরামপুর, জেলা-যশোর ৫। মোঃ সুমন হোসেন (২৫), পিতা-নজরুল ইসলাম, সাং-বিষ্ণুপুর থানা- কেশবপুর, জেলা-যশোর। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা ০৩ (তিন) টি বাসায় চুরির বিষয়ে তথ্য প্রদান করেছে। গত ০৮আগস্ট-২৩ তারিখে রাত অনুমানিক ২ টার দিকে কেশবপুর উপজেলার কোমরপুর গ্রামের আশরাফ আলী খাঁ'র ছেলে বেলাল হোসেনের বাড়ী থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা, ১ জোড়া কানের দুল, ১ জোড়া বালাসহ মোট ১ লক্ষ ৭ হাজার ৫'শ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
গত ১৬ জুলাই ২৩ তারিখে রাত অনুমানিক ২ টার দিকে কেশবপুর উপজেলার জাহানপুর গ্রামের (দাসপাড়া) চিত্তরঞ্জন দাসের ছেলে গোপিনাথ দাসের বাড়ী থেকে ১ টি অটো ভ্যান,অনুমানিক ২/৩ ভরি ওজনের রুপার অলংকার,গায়ে দেওয়া ১৫/১৬ টি সাবানসহ মোট ৭০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়। গত ৩ আগস্ট ২৩ তারিখে রাত অনুমানিক ২ টার দিকে একই উপজেলার বাগদাহ গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে আবুল কালামের বাড়ী থেকে ২টি মোবাইল ফোন নিয়ে চোরেরা পালিয়ে যায়। চুরিকৃত মালামালের মধ্যে ১ ভরি স্বর্ণালংকার, ২ ভরি রুপার অলংকার, ১টি ভ্যান, ১টি মোটরসাইকেল, ২টি মোবাইল, ১২ টি সাবান, চেতনা নাশক ঔষধ মিশ্রিত হলুদের গুড়া উদ্ধার করেছে পুলিশ। "বাংলাদেশ পুলিশের শপথ-দেশের মানুষকে রাখবো নিরাপদ,
সত্য উদঘাটনে বদ্ধ পরিকর, যশোর জেলা পুলিশ।