আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই কিউবায় রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ, ডুবোজাহাজ এবং রণতরিসহ চারটি নৌযান পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য থেকে প্রায় ৯০ মাইল দূরে অবস্থিত হাভানা বেতে এই জাহাজগুলো নোঙর করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে কিউবায় রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে মস্কোর শক্তি প্রদর্শনের প্রচেষ্টা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। আল জাজিরা এখবর প্রকাশ করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অ্যাডমিরাল গোরশকভ নামের জাহাজ এবং কাজান নামক ডুবোজাহাজ-এ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র জিরকনসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্র বহন করা হয়। এর আগে তারা আটলান্টিক মহাসাগরে ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালিয়েছে।
কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জাহাজগুলোর কোনোটির ভেতরই পারমাণবিক অস্ত্র নেই এবং এগুলো পাঁচ দিন অবস্থান করবে। তবে জাহাজগুলোর অবস্থানের কারণে ওই অঞ্চলের জন্য কোনো নিরাপত্তা হুমকি তৈরি হবে না বলে কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার জাহাজগুলো কিউবার কাছাকাছি পৌঁছালে সি ড্রোন ব্যবহার করে সেগুলোকে নজরে রেখেছিল মার্কিন নৌবাহিনী। বুধবার ভোরে রাশিয়ার জাহাজগুলো হাভানা বেতে প্রবেশ করে এবং ঢোকার সময় ২১টি তোপধ্বনি দেওয়া হয়। এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এটি একটি অনানুষ্ঠানিক সফর। জাহাজের নাবিকেরা যেন বিশ্রাম নিতে পারেন এবং স্থানীয়ভাবে সুপরিচিত জিনিসগুলোর সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে এ সফরের আয়োজন করা হয়েছে।
রাশিয়া এর আগেও কিউবায় যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছিল। দুই দেশই দীর্ঘদিনের মিত্র। হাভানায় সফর শেষ করে রাশিয়ার জাহাজগুলো ভেনেজুয়েলাতে যেতে পারে। মার্কিন কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, জাহাজগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছেন না তারা। কারণ, তাদের মতে পারমাণবিক-চালিত ডুবোজাহাজটিতে পারমাণবিক অস্ত্র নেই।