সর্বশেষ:

ঝুলন্ত সেতু

কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি, ডুবে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু

ঝুলন্ত সেতু
Facebook
Twitter
LinkedIn

সাম্প্রতিক ভারি বর্ষণ ও ভাটিতে ভূমিধসের কারণে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা পর্যটন ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে গেছে। সেতুর ঝুলন্ত পানি প্লাবিত হওয়ায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশন।

সরেজমিনে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, কাপ্তাই লেকের তলদেশের সেতুটি ১৫ সেন্টিমিটার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ সময় পর্যটন কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। ডুবে যাওয়া সেতু দেখে হতাশ হয়ে ফিরছেন পর্যটকরা, স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও হতাশায় ভুগছেন।

ঢাকা থেকে সপরিবারে বেড়াতে আসা রিজওয়ান জানান, তিনি সপরিবারে রাঙামাটিতে এসেছেন। একটি আকর্ষণীয় সাসপেনশন ব্রিজ দেখুন এবং এটি পানির নিচে আবিষ্কার করুন। কর্তৃপক্ষ ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিলেও সেতুতে উঠতে দেয়নি। তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন যে তিনি সেতুতে আরোহণ করতে পারেননি এবং উল্লেখ করেছেন যে এই সমস্যার সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ।

পর্যটন ঘাটে পর্যটক নৌকার ইজারাদার, মো. জামশেদ বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়লে সেতুটি ডুবে যাবে। এ সময় হতাশ হয়ে ফিরে আসেন পর্যটকরা। আমরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এটি স্থায়ীভাবে সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় এবং ঝুলন্ত সেতুতে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় রোববার সকাল থেকে সেতুটি পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা এক সপ্তাহ ধরে দ্রুত বাড়ছে। ঝুলন্ত সেতু ইতিমধ্যেই জলের তলায়। ফলে সাময়িকভাবে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। সমুদ্রের পানি কমে গেলে সেতুটি পুনরায় ভাসিয়ে পর্যটকদের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, আশির দশকে সরকার রাঙামাটির পাহাড়ি অঞ্চলকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে। পরবর্তীতে পর্যটকদের সুবিধার্থে পর্যটন করপোরেশন দুই পাহাড়ের মাঝে একটি আকর্ষণীয় রাঙামাটি ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করে। রাঙামাটি ঝুলন্ত সেতুর প্রতীক হিসেবে এটি দেশে-বিদেশে ব্যাপক পরিচিত।

প্রতি বছর পর্যটন মৌসুমে অনেক পর্যটক রাঙ্গামাটিতে আসেন সুন্দর রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত সেতুর প্রশংসা করতে। একই সঙ্গে বর্ষাকালে ঝুলন্ত সেতুটি কাপ্তাই লেকের পানিতে ডুবে থাকে। কিন্তু প্রতিবছর ঝুলন্ত সেতু পানির নিচে চলে যাওয়ায় সমস্যার কোনো চূড়ান্ত সমাধান এখনো হয়নি।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana