সর্বশেষ:

কন্যাসন্তান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ উপহার

কন্যাসন্তান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ উপহার

কন্যাসন্তান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ উপহার
Facebook
Twitter
LinkedIn

ইসলাম ধর্মে কন্যাসন্তানকে আল্লাহর শ্রেষ্ঠ উপহার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কোরআন ও হাদিসে কন্যাসন্তানের গুরুত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।

কোরআনের সূরা নাহলে বলা হয়েছে, “যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সন্তানদের হত্যা করে, তাদের জন্য জাহান্নামে রয়েছে নির্ধারিত আযাব।” (সূরা নাহল: ৫৯)

হাদিসে বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা সন্তানকে লালন-পালন করে, তাদের উত্তমভাবে লালন-পালন করে, তাদের ভালোভাবে বিয়ে দেয়, তাদের সাথে ভালো আচরণ করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।” (তিরমিজি শরীফ)

কন্যাসন্তানের গুরুত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে ইসলামের কিছু দৃষ্টিভঙ্গি নিচে দেওয়া হল:

  • কন্যাসন্তান আল্লাহর রহমত: আল্লাহ তায়ালা কন্যাসন্তানকে তার রহমত হিসেবে দান করেন। তিনি বলেন, “যদি তোমরা সৎকর্ম কর এবং আল্লাহকে ভয় কর, তাহলে তিনি তোমাদেরকে তোমাদের সৎকর্মের জন্য উত্তম প্রতিদান দেবেন এবং তোমাদেরকে তোমাদের পছন্দের জিনিস দিয়ে সৌভাগ্যমণ্ডিত করবেন।” (সূরা নাহল: ৯৭)

  • কন্যাসন্তান জান্নাতের পথপ্রদর্শক: কন্যাসন্তান জান্নাতের পথপ্রদর্শক। হাদিসে বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা সন্তানকে লালন-পালন করে, তাদের উত্তমভাবে লালন-পালন করে, তাদের ভালোভাবে বিয়ে দেয়, তাদের সাথে ভালো আচরণ করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।” (তিরমিজি শরীফ)

  • কন্যাসন্তান সুখ ও শান্তির কারণ: কন্যাসন্তান সুখ ও শান্তির কারণ। হাদিসে বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা সন্তানকে লালন-পালন করে, তাদের সাথে ভালো আচরণ করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তাকে সুখ ও শান্তি দান করবেন।” (তিরমিজি শরীফ)

  • কন্যাসন্তান পিতার জন্য সাওয়াব ও মুক্তির কারণ: কন্যাসন্তান পিতার জন্য সাওয়াব ও মুক্তির কারণ। হাদিসে বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা সন্তানকে লালন-পালন করে, তাদের উত্তমভাবে লালন-পালন করে, তাদের সাথে ভালো আচরণ করে, আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করবেন এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।” (তিরমিজি শরীফ)

বাংলাদেশে এখনও কিছু পরিবারে কন্যাসন্তানকে অবাঞ্ছিত হিসেবে দেখা হয়। তারা কন্যাসন্তানকে জন্ম দেওয়াকে অভিশাপ হিসেবে মনে করে। কিন্তু ইসলামে কন্যাসন্তানকে আল্লাহর শ্রেষ্ঠ উপহার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত কন্যাসন্তানের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাশীল হওয়া।

কন্যাসন্তানের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কিছু উপায়:

  • কন্যাসন্তানের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহ প্রদর্শন করা।
  • কন্যাসন্তানের শিক্ষা ও বিকাশে সহায়তা করা।
  • কন্যাসন্তানের সাথে ভালো আচরণ করা।
  • কন্যাসন্তানের মর্যাদা রক্ষা করা।

কন্যাসন্তানের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাশীল হওয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি এবং জান্নাতের অধিকারী হতে পারি।

কন্যাসন্তান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ উপহার। তারা মা-বাবার জন্য জান্নাতের দাওয়াতনামা নিয়ে দুনিয়ায় আসে। পবিত্র কোরআনে কন্যাসন্তানের সংবাদকে ‘সুসংবাদ’ বলা হয়েছে।

ইসলামে কন্যাসন্তানকে ছেলে সন্তানের সমতুল্য মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। কন্যা সন্তান হলে অপছন্দ করা, তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং তাদের লালন-পালনের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন না করা, ইসলামপূর্ব বর্বর জাহেলি যুগের কুপ্রথা।

রাসুল (সা.) কন্যা সন্তানদের অনেক ভালোবাসতেন। তিনি কন্যাসন্তান প্রতিপালনে অন্যদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুটি কন্যাকে তারা সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত লালন-পালন করবে, কিয়ামতের দিন আমি এবং সে এ দুটি আঙ্গুলের মতো পাশাপাশি আসবো।’

কন্যা সন্তানদের মাধ্যমে আল্লাহ পরিবারে সুখ ও বরকত দান করেন। হাদিসে এমন কথা উল্লেখ হয়েছে। কিন্তু আমাদের সমাজে এখনো অনেক পরিবারে কন্যাসন্তান জন্ম নিলে ইতিবাচক চোখে দেখা হয় না। অনেকে আবার কন্যাসন্তানের মায়ের ওপর নাখোশও হন।

কন্যাসন্তানের গুরুত্ব

কন্যাসন্তানদের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। তারা মা-বাবার জন্য জান্নাতের সুপারিশ করবে। তারা পরিবারের সুখ ও বরকতের কারণ হবে। তারা সমাজে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।

কন্যাসন্তান প্রতিপালনে করণীয়

কন্যাসন্তান প্রতিপালনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো গুরুত্ব দেওয়া উচিত:

  • কন্যাসন্তানকে ভালোবাসা এবং তাদের প্রতি যত্নশীল হওয়া।
  • তাদের শিক্ষা ও দীক্ষায় মনোযোগ দেওয়া।
  • তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা।
  • তাদের প্রতি সুবিচার করা।

উপসংহার

কন্যাসন্তান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ উপহার। তাদের প্রতি ভালোবাসা ও যত্নশীল হওয়া প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana