তুরান হোসেন রানাঃ
প্রাচীন কালে পুলিশের সৃষ্টি হয়ে ছিলো খাজনা আদায়ের জন্য। যার কারনে প্রাচীন কালে পুলিশ মানুষের গাঢ় ধরে সরকারের খাজনা আদায় করে দিত জনগনের কাছ থেকে। সময়ের পরিক্রমায় সেই পুলিশ আস্তে আস্তে হলেও যথেষ্ট জনবান্ধন পুলিশে পরিণত হয়েছে। জনসেবায় পুলিশের মনোজগতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী, আড্ডাবাজ ও মানবিক ছেলে-মেয়েগুলো দলেদলে এই বাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন। সুতরাং পুলিশে গুণগত পরিবর্তন এখন সাদাচোখেও দৃশ্যমান, যদিও যথেষ্ট ব্যতিক্রম রয়েছে এবং ব্যতিক্রম সবসময় উদাহরণও নয়।
আজ আপনি ৯৯৯ এ ফ্রি ডায়াল করলেই পুলিশ আপনার দরজায় গিয়ে হাজির হচ্ছে। আপনি গহীন অরণ্য বা মাঝ নদীতে কোনো সমস্যায় পড়ে জাস্ট একটা কল করলেই আপনার পাশে পৌঁছে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা।
আর এটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শিতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের তত্ত্বাবধান ও বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এর দক্ষ নেতৃত্বের কারনে। পুলিশের এই পরিবর্তনের পিছনে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের কিছু ডাইনামিক পুলিশ সদস্যরা।তাদের মধ্য অন্যতম একজন হলেন - বাগেরহাটের কৃতি সন্তান ও ডেমা ইউনিয়নের পিসি এলাকার মল্লিক নজরুল ইসলামের ছেলে খুলনা জেলার কয়রা থানার সুযোগ্য কনস্টেবল মোঃ রতন মল্লিক।
তিনি গত ২০১২ সালে ২১'শে সেপ্টেম্বর পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে যোগদান করেন। এবং চাকরির শুরু থেকে খুলনা জেলা এবং Rab - 8 বরিশাল Rab সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ যে জনগণের বন্ধু,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারাও যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই,অনেকে তা স্বীকারে নারাজ। দু-একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় বিদ্ধ করতে কুণ্ঠাবোধ করে না। তবে পুলিশ বিভাগে রয়েছে হাজারো মোঃ রতন মল্লিকের মতো মানবিক পুলিশ সদস্যরা।
এদিকে সচেতন মহল মনে করছেন,একজন কনস্টেবল হয়েও সমাজের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণে এভাবে নিজেকে নিয়োজিত রাখা মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন খুলনা জেলার কয়রা থানার সুযোগ্য কনস্টেবল মোঃ রতন মল্লিক। যার ফলে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। এবং তার সততা ও বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা এবং মেধার বিকাশে তার দায়িত্বরত খুলনা জেলার কয়রা এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ,মামলা হ্রাস, চোর-ডাকাতের উৎপাত ও দখল বাজদের হাত থেকে মুক্ত করেছেন। তার চোখে ধনী-গরিব, জেলে,রিক্সা চালক হতে সব শ্রেণিপেশার মানুষ সমান।তিনি একজন সৎ ও অন্যায়ের কাছে আপোষহীন পুলিশ কনস্টেবল । থানাধীন এলাকার মানুষের কাছে মানবিক কনস্টেবল মোঃ রতন মল্লিক এক আস্থার প্রতীক। এবং পুলিশ কেবল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ'সহ নানা প্রয়োজনে জনগণের জন্য মানবিক কাজ করে পুলিশ।
মোঃ রতন মল্লিক নামের এই পুলিশ কনস্টেবল এমন মানবিক কাজ করে বাংলাদেশ পুলিশ'সহ সারাবিশ্বের নজির স্থাপন করেছে। এই চলমান তাপপ্রবাহে উপযুক্ত ভোটারের ভোট দেওয়ার পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা যেনো না থাকে সেটা শতভাগ নিশ্চিত করেছে এই পুলিশ কনস্টেবল মোঃ রতন মল্লিক। রবিবার (২১'মে) খুলনা জেলার কয়রা থানা থেকে ডিউটি পালনে করতে খুলনা ফুলতলা এলাকার দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে এমনই কিছু বাস্তব চিত্র দেখা গেছে ভোটকেন্দ্রগুলোতে। এবং সেখানে দেখা গেছে পঙ্গু ও বয়সের ভারে ন্যুজ কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তিকে ভোটকেন্দ্রে এগিয়ে নিতে ও গাড়ি থেকে নামতে বা উঠাতে পরম মমতা দিয়ে সহায়তা করছে এই পুলিশ সদস্যকে।এই নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি মোঃ রতন মল্লিক নামের এই পুলিশ কনস্টেবলের এমন মানবিক কাজে খুলনা নগর ও খুলনার কয়রা বা বাগেরহাট জেলাবাসী'সহ সকলের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
মানবিক পুলিশ কনস্টেবল মোঃ রতন মল্লিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই মানুষের দু:খ-কষ্ট দেখলে আমার সহ্য হতোনা। এগিয়ে গিয়ে সাহায্য করতে ইচ্ছে করে। তাছাড়া পুলিশের চাকরিটাও মানুষকে সহযোগিতা করাই একটি চাকরি বলে জানান তিনি।শত ব্যস্ততার মধ্য ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন এই কর্মকর্তা ।
তিনি আরও বলেন, মানুষের বিপদের সময় যে পাশে থাকে সে-ই প্রকৃত বন্ধু। আমি কোনো জনপ্রতিনিধি বা মহৎ ব্যক্তি হতে চাই না। আমি চাই মানুষের দুঃসময়ের বন্ধু হতে। তাই নিজের সাধ্য অনুযায়ী সব সময় চেষ্টা করি সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে।
সর্বপরি তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার গণমানুষের বন্ধু, সরকার আমাদের পাঠিয়েছেন মানুষের মুখেহাসি ফোটাতে, মানুষের সাথে মিলেমিশে তাদের সুখ দুঃখভাগাভাগি করে নিতে। আমরা মানুষের অতন্ত্র প্রহরী আমাদের কাজ হচ্ছে দেশকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চাদাঁবাজ, ইভটিজার মুক্ত করে মানুষের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে আনা।