পাইকগাছা (খুলনা ) প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে পাইকগাছার বিনোদন কেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঈদ আনন্দে ব্রীজগুলোতে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত জনস্রোতে রুপ নেয় ব্রিজ এলাকা। পাইকগাছা বিনোদনের তেমন কোন স্পর্ট না থাকায় ব্রীজগুলিই বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাড়িয়েছে। রাড়ুলী স্যার পিসি রায়ের বসতভিটা ও উপজেলা সদরে মধুমিতা পার্ক নামে একটি পার্ক থাকলেও সেখানে কোন বিনোদনের পরিবেশ না থাকায় কেউ যায় না। এ কারণে পাইকগাছাবাসীর অনেকেই মধুমিতা পার্কের নাম ভুলতে বসেছে। তবে শিববাটি ব্রিজের পাশে বিনদোনের জন্য রয়েছে বিনোদনের এক মাত্র পার্ক।
পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে পাইকগাছার বিনোদন কেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা ভাসছেন ছুটির আমেজে।
নদীবেষ্টিত পাইকগাছা উপজেলা সদর পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নগুলো ৩টি ব্রীজ দ্বারা যোগাযোগ মাধ্যম তৈরী হয়েছে। পূর্বপাশে শিবসা ব্রীজ, দক্ষিণ পাশে শিববাটী ব্রীজ ও পশ্চিম দিকে কপোতাক্ষ নদের উপর বোয়ালিয়া ব্রীজ অবস্থিত। যে কোন উৎসবে এই ব্রীজ ৩টিতে দর্শনার্থিদের বিনোদনের কেন্দ্র হিসাবে পরিণত হয়। পাইকগাছা কপোতাক্ষ নদের উপর বোয়ালিয়া ব্রীজ। ব্রীজ সংলগ্ন বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে বিনোদনের জন্য ছোট একটি পার্কের মত জায়গা রয়েছে। অনেকেই সেখানে উৎসবে পিকনিক সহ ছোট অনুষ্ঠান করে থাকে।
কপোতাক্ষ নদে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার পরিজন নিয়ে কেউ কেউ নৌকা ভ্রমনে মেতে ওঠে। এবারের ঈদে বোয়ালিয়া ফার্ম ও বোয়ালিয়া ব্রীজে দর্শনার্থিদের উপছে পড়া ভীড় ছিল। দর্শনার্থী রিতু জানান, পাইকগাছায় বিনোদনের জন্য তেমন কোন পার্ক না থাকায় বোয়ালিয়া ব্রীজ ও ফার্ম এলাকায় ঈদে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। উন্মুক্ত পরিবেশে খুব ভালো লাগছে। ব্রীজে দর্শনার্থিদের ঢল নামায় ব্রীজের উপর ভ্রাম্যমান ছোট ছোট দোকান বসতে দেখা যায়। দর্শনার্থিদের নিরাপত্তার জন্য ব্রীজগুলোতে পুলিশি টহল ব্যবস্থা ছিল।