
২০০৪ সালের ১২ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের ৭৮ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের ২০ জন অতিথি নিয়ে খুলনা থেকে রওনা দেয় সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে। সারারাত লঞ্চযাত্রা শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা সুন্দরবনের কটকার নিকটবর্তী বাদামতলী এলাকায় পৌঁছে।
বেলা ১টার দিকে তারা গভীর অরণ্য পেরিয়ে কটকা সী-বিচে পৌঁছায়। আধোঘুমে কেটে যাওয়া সারা রাতে ভ্রমনের ক্লান্তি যেন দূর করে দেয় অকুল সমুদ্রের ঢেউ। অনেকেই হাটাহাটি করতে শুরু করল সাগর পাড়ে, কয়েকজন দল বেধে বল খেলছে হাঁটুপানিতে, কেউবা আবার নেমে পড়ে সমুদ্রে গোসলের জন্য। আনন্দে উল্লাসে মেতে উঠে তারা।
তারপরে আর কিছু না হলেও পারতো।এমন হাসি খুশি একটা স্মৃতি নিয়ে সবাই ফিরে আসতে পারতো😑
(বি.দ্র.ছবি গুলো পারিবারিক অ্যালবাম থেকে নেওয়া)
১৩ মার্চ। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস। ২০০৪ সালের এ দিনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা সুন্দরবনে বেড়াতে গিয়ে কটকা সী-বিচে ঘোরাঘুরির সময় হঠাৎ জোয়ারের টানে সমুদ্রে হারিয়ে যায় অনেকেই, স্রোতের সাথে যুদ্ধ করে কেউ কেউ তীরে ফিরতে পারলে ও ফিরে আসতে পারেনি ওরা ১১ জন। সেখান থেকে প্রতিবছর এ দিনটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।














