মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পল্লীতে চোখে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে এক দিনমজুরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নির্মাণাধীন বসতঘর ভাংচুর ও মারপিট করে দুই নারীসহ ৪ জনের আহত করার ঘটনা ঘটেছে। জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করে পুলিশি সহায়তায় প্রাণে রক্ষা পেলো ওই দিন মজুর পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পশ্চিম বিশারীঘাটা গ্রামে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ঘটনার সময় সকাল ৮টার দিকে ওই গ্রামের দিনমজুর জামাল হাওলাদরের প্রতিবেশী ছলেমান হাওলাদারের নেতৃত্বে তার স্ত্রী ফরিদা বেগম, বোন নাছিমা বেগমসহ ৭/৮ জনের একটি সঙ্গবদ্ধ দল জামাল হাওলাদরের বসত বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকরীরা দিনমজুর জামাল হাওলাদার (৫৫), তার স্ত্রী নেহারুন বেগম (৪০), মেয়ে স্কুলছাত্রি রহিমা আক্তার (১৪) ও তার চাচাতো ভাই মানিক হাওলাদার (৪২) এর চোঁখে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে দিয়ে তাদেরকে পিটিয়ে আহত করে এবং জামাল হাওলাদারের নির্মাণাধীন বসতঘর ভাংচুর চালিয়ে ঘরে থাকা নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর পরই ওই ভুক্তভোগী পরিবারের আহতরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে তাৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আহতদের মধ্যে জামাল হাওলাদার স্ত্রী গুরুতর আহত নেহারুন বেগমকে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দিনমজুর জামাল হাওলাদার জানান, পৈত্রিক ৪৯ শতক জমিতে দীর্ঘ ৬০/৭০ বছর ধরে বসতবাড়ি করে আমার বাবা থেকে এখন আমি স্বপরিবারে বসবাস করছি। পুরাতন ঘরটি ভেঙ্গে নতুন করে বসত ঘর করতে গেলে প্রতিপক্ষ ছলেমান ছলেমান হাওলাদার ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগম একদল মহিলা নিয়ে চোঁখে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে আমাদের ওপরে হামলা চালায়। ৯৯৯ ফোন দিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। প্রশাসনের কাছে হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচারের দাবি জানান তিনি।
এ ঘটনায় মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, পশ্চিম বিশারীঘাটায় হামলার বিষয়ে ৯৯৯ ফোন পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।