বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি৷ :
বাগেরহাটে ঝড়ের তাণ্ডব। বাগেরহাটে ঝড়ের সময় বজ্রপাতে এক যুবক নিহতসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার সকালের এই ঝড়ে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুরো জেলায় বজ্রসহ ঝড় ও বৃষ্টি হয়। তাতে বাগেরহাট সদরের পুঁটিমারি, রাধাবল্লভ, গবরদিয়া, ডেমা, বাঁশগাড়িয়া, শহরতলির মারিয়া পল্লি, কচুয়াসহ বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে জেলার কচুয়ার চরসোনাকুর গ্রামের আরিফুল ইসলাম লিকচান (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
দুপুরে বাগেরহাট সদরের রাধাবল্লব বেড়িবাঁধ এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁধের পাশে আশ্রয় নেওয়া তারা বানু খোলা আকাশের নিচে সন্তানদের নিয়ে বসে আছেন। তাঁর ভাষায়, মুহূর্তের মধ্যেই ঘর উড়িয়ে নিয়ে সব শেষ শেষ করে দিয়েছে। এখন ঘরের পোতা ছাড়া কিছু নেই। কী করব কোথায় যাব বলে ফ্যাল ফ্যাল করে কেঁদে উঠে।
বাগেরহাট পৌরসভার সোনাতলা এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সকালে মুহূর্তের মধ্যে চারদিক অন্ধকার হয়ে আসে। এরপরই প্রচণ্ড বাতাস, ঝোড়ো হওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়। তাতে বেশ কিছু গাছপালা ভেঙে পড়ে। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
বাগেরহাটে ঝড়ের তাণ্ডব। ছবি: আজকের পত্রিকাডেমা এলাকার রিয়াদ হোসেন বলেন, ‘ঝড়ে ঘরের চাল উড়ে গেছে। এখন খোলা আকাশে রয়েছি। কয়েক দিন পর ঈদ। এখন কী করব বুঝতে পারছি না। সরকারের সহযোগিতা না পেলে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব না।’
গোবরদিয়া এলাকার নিলা বেগম বলেন, ‘সকালে ঘেরে কাজ করছিলাম। হঠাৎ দমকা হাওয়া ঘরের চাল, বেড়া উড়ে গেছে। এখন খোলা আকাশের নিচে আছি।’
বাগেরহাটে ঝড়ের তাণ্ডব। আজকের পত্রিকাএ বিষয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. খালিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝড়ে বেশ কিছু ঘরবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়েছে ক্ষতিপূরণ নিরূপণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকা পেলেই ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কচুয়া উপজেলায় বজ্রপাতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।