বরিশাল: বরিশাল, ২৯ ডিসেম্বর: প্রায় পাঁচ বছর পর বরিশাল সফরে এসেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা। এই সফর নির্বাচনী প্রচারণার এক অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা বরিশালের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ সৃষ্টি করেছে।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা থেকে সড়ক পথে বরিশালে পৌঁছানোর পর, প্রধানমন্ত্রী সার্কিট হাউজে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন। বিকেলে তিনি নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। তার সঙ্গে রয়েছেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
বরিশাল নগর এবং আশপাশের এলাকা এই সফরকে ঘিরে উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে। শেখ হাসিনার নির্বাচনী সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নৌকার আদলে এক বিশাল মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে, যা তার দলের প্রতীক নৌকার প্রতিনিধিত্ব করে। এছাড়া, নিরাপত্তার জন্য কয়েক স্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। তারা নানা রঙের শাড়ি, রঙিন ক্যাপ-পোশাক পরে এই সমাবেশে অংশ নেন। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বরিশাল নগর নবরূপে সেজেছে। রাস্তাঘাট, অলিগলি সহ নগরের প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য সব চলার পথ পরিচ্ছন্ন ও সংস্কার করা হয়েছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জিহাদুল কবির জানান, চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
শেখ হাসিনা শেষবার ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের এক জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। বরিশালে জনসভা শেষে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাবেন, যেখানে তিনি শনিবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর তিনি গোপালগঞ্জ, কোটালিপাড়া এবং মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় যোগদান করে ঢাকায় ফিরবেন।
এই সফর দিয়ে শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী প্রচারণার এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন, যা বরিশাল এবং দক্ষিণাঞ্চলের রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা এনেছে। ২০ ডিসেম্বর সিলেটে হজরত শাহজালাল ও হজরত শাহ পরানের মাজার জিয়ারত এবং সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে নির্বাচনী জনসভার মধ্য দিয়ে তিনি তার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। বরিশালের এই সফর তার প্রচারণার এক মহৎ অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।