
কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি
খুলনার কয়রা উপজেলার জায়গীর মহল গ্রামের শাহ বাবর আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম এর জমিতে জমি দখল নিতে হামলা করে ঘেরা বেড়া গাছপালা ভাংচুর ও হামলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৫ই জুলাই) সকালের এই ঘটনায় শাহ মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে কয়রায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন মামলা নং সি আর ৩৪৩/২৪। এতে একই গ্রামের শাহ নুরুল হুদার স্ত্রী আবেদা খাতুন আমাদী ইউ পির মহিলা সদস্য দিলরুবা খাতুন ও শাহ রিপন এর নাম উল্লেখ ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম আমাদী মৌজার এস এ ৯৮০ নং দাগের তার জমিতে ঘর বাড়ী, পুকুর খনন করে ও গাছগাছালী লাগিয়ে বসবাস করে আসছে।
শান্তিপূর্নভাবে ভোগদখলকার থাকাবস্থায় আবেদা খাতুন ইতিপূর্বে মনিরুল সহ তাহার ভাইদের বিরুদ্ধে এম, আর ০৬/২৪ নং মামলা করেন। উক্ত মামলায় ১০/০৭/২৪ তারিখে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদেশের জন্য নিলে আবেদা খাতুন গংরা রাগান্বিত ও ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার সকালে বেআইনীভাবে দলবদ্ধ হয়ে মনিরুল ইসলামের সম্পত্তিতে প্রবেশ করে আবেদা খাতুন গাছগাছালী ও ঘেরাবেড়া ভাংচুর করতে থাকে এ-ই কাজে মনিরুলের স্ত্রী বাধা প্রদান করলে ইউ পি সদস্য দিলরুবা তার বাড়ী থেকে দা এনে আবেদাকে দিয়ে মনিরুল এর স্ত্রী কে মারতে বলেন।
আবেদা খাতুন দা দিয়ে মনিরুলের স্ত্রী কোপ মারলে তার হাটুতে লেগে কেটে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। অন্যান্য আসামীরা মনিরুল ইসলামের স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করে। স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ হামলা বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য দিলরুবা খানমের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমি এর সাথে জড়িত না রাজনৈতিক এর দ্বন্দ্বে তারা আমাকে হয়রানি করার জন্য আমার নাম দিয়েছে। শাহ রিপন বলেন আমি কয়রা উপজেলায় বি আর ডিপিতে চাকুরী করি ঘটনার সময় আমি কয়রাতে ছিলাম আমি এ-ই ঘটনায় কোন ভাবে জড়িত না।